' Tech Earn Tricks : Design & Development

Design & Development


যেকোনো ওয়েব সাইট এর এইচটিএমএল কোড পেয়ে যান খুব সহজেই..

মনটা খুব খারাপ;কারণ পরে বলছি,আগে টিউনটা দিই।
আমাদের মধ্যে অনেকেরই ওয়েব সাইট আছে।যাঁদের ওয়েব সাইট আছে তারা নিশ্চয় তাদের ওয়েব সাইত টি কে সাজাতে চান।
অনেক সময় তাদের অন্য সাইট এর ডিজাইন পছন্দ হয়, কিন্তু যাঁরা ভালোভাবে ওয়েব সাইট তৈরী করা জানেন না তাদের মন তখন খারাপ হয়ে যায়।


গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ে কাজের ক্ষেত্র, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং রোজগারপাতির সাত সতের !

আঁকা ঝোঁকাতে ঝোক বেশি! ক্রিয়েটিভ কিছু করতে মন চায়? সময় পেলেই কম্পিউটারের পেইন্ট টুলস, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর নিয়ে গাছ, পাখি, ফুল, ফল, বাড়ির দৃশ্য বা কারো নাম বা ছবি নিয়ে কাজ শুরু করে দেন? পার্ট-টাইম বা ফুল টাইম কাজ খুঁজছেন? অথবা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করতে চান? তাহলে ভেবে চিন্তে নেমে পড়–ন গ্রাফিক্স ডিজাইনে। অন্যান্য সব চাকরির থেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশাটি সবচেয়ে নিরাপদ ও ঝামেলা বিহীন। নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন বলার কারণ হলো অন্যান্য সব পেশার বিপরীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কোনো কাজের অভাব হয় না। এটা একটি সন্মানজনক পেশাও। তবে অনেকেই এ পেশাটি নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিভাবে এগিয়ে যাবেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা কি প্রয়োজন বা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের বেতন-ই বা কতো? তাদের জন্য এ লেখা। লেখাটির মাধ্যমে ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে চাইলে যে বিষয়টি আগে জানতে হবে সেটি জানানো চেষ্টা করেছি।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে?
আমরা প্রথমেই জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইনার কে বা তার কাজ কি। তার আগে বলি, গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো আর্ট বা কলা’র এ মাধ্যম। ডিজাইনার তার কাজের মাধ্যমে এন্ড ইউজার অর্থ্যাৎ সর্বশেষ ব্যবহারকারীর মধ্যে একটি ভালো প্রভাব ফেলতে পারেন। যেটি সেই ব্যবহারকারীর ব্রেইন এ একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলেন তিনি, যিনি গ্রাহকের চাহিদানুযায়ী বেশ কিছু কালার, টাইপফেস, ইমেজ এবং অ্যানিমেশন ব্যবহারের মাধ্যমে তার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হন। এটার আউটপুট ডিজিটাল বা প্রিন্ট উভয়ই হতে পারে। আর বর্তমান সময়ে সচরাচর পাওয়া বিভিন্ন টুলস ও লেআউট ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে আরো বেশি ক্রিয়েটিভ ও গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করে বাড়তি তৃপ্তি দিতে পারছেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে যেখানে চাকরি পাবেন
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দায়িত্ব হলো তার কাজ, পণ্য বা সেবার ওভারঅল লুক ও ভাবমূর্তি ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া ডিজাইন করা যতোই ভালো পণ্য হোক না কেনো সেটি প্রথমেই ব্যার্থ হবে। তাই একটি নিদ্দিষ্ট পরিকল্পনা ও ক্রিয়েটিভিটি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মানকে উন্নত করে। তাই নিজেকে ভালোভাবে তৈরি করতে পারলে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের অভাব হয় না! সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সম্প্রতি দেয়া তথ্যমতে, বর্তমানে প্রায় ৩৫ শতাংশ গ্রাফিক্স ডিজাইনার আত্বনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী।
একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের ক্ষেত্র কোথায় হতে পারে তার একটি তালিকা দেওয়া হলো-
১.    ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া: কেজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করার যে ক্ষেত্রটি পান সেটি হলো ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া। এখানে বিশেষত টেক্সট, গ্রাফিক্স, ভিডিও, অ্যানিমেশন, অডিওসহ যেকেনো কিছু এবং এ সম্পর্কিত সব কিছুই নিয়ে কাজ হয়। আমার মতে ইন্টার‌্যাক্টিভ মিডিয়া হলো তেমনই একটি ভালো নিশ যেখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার তার কাজকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন।
২.    প্রমোশনাল ডিসপ্লে:  সাধারণত যারা বড় ধরনের বা বড় আকারের কাজ করতে চান বা কঠোর পরিশ্রম করতে পারবেন তাদের জন্য এটি একটি ভালো মাধ্যম। এ কাজগুলো মূলত বিভিণœ অ্যাডমিডিয়াতে পাওয়া যায়। এখানে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে বিভিন্ন ধরণের বিলবোর্ড ডিজাইন এবং একই ধরণের প্রোমোশনার ডিসপ্লে ডিজাইন নিয়ে কাজ করতে হয়।
৩.    জার্নাল: বিভিন্ন ধরণের জার্নালগুলো (বিষয়ভিত্তিক বা ব্যাঙ্গাত্বক) ক্রিয়েটিভ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এখানে সাধারণত পাঠককে আকৃষ্ট করার কাজটি করতে হয়। এখানে আপনাকে ছোটখাটো লোগো, ইমোটিকন থেকে শুরু করে কমপ্লিট কাভার ডিজাইন করতে হতে পারে।
৪.    কর্পোরেট রিপোর্টস: এটি রেগুলার জব না হলেও কম নয়! একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বিভিন্ন কোম্পানির কর্পোরেট রিপোর্ট তৈরি করে ভালোমানের আয় করতে পারেন। এটা অনেকটাই প্রফেশনাল কিন্তু মোটেই বোরিং কাজ নয়। কাজের মধ্যে অনেক স্বাচ্ছদ্য বোধ করা যায়।
৫.    মার্কেটিং ব্রোশিউর: এটিও অনেকটাই প্রোমোশনাল ডিসপ্লের কাজের মতো। এখানে আপনাকে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবা নিয়ে ডিজাইনের কাজটি করতে হবে। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া যেহেতু কাজটি সম্ভব নয়, তাই এখানেও আপনার কাজের ক্ষেত্রটি হতে পারে।
৬.     সংবাদপত্র: গ্রাফিক্স ডিজাইনার ছাড়া সংবাদপত্র! মোটেই সম্ভব নয়। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার একটি সংবাদপত্রকে ঠিকই সংবাদপত্রেরই মতো করে তোলেন। ফাইনাল লেআউট দেওয়ার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার অবশ্যই জরুরী। এখানে আপনার পেশার সন্মানটাও বেশি। তাই সংবাদপত্র একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য একটি সাফল্যজনক কাজের ক্ষেত্র।
৭.    ম্যাগাজিন: এটাও মূলত সংবাদপত্র ও জার্নালের মতো। তবে ম্যাগাজিনে গ্রাফিক্স ডিজাইনারের কাজের পরিমান অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি। কারণ ম্যাগাজিনে ভিজ্যুয়াল লেআউট বেশি থাকে। তাই ম্যাগাজিনের প্রত্যেকটা প্রকাশনার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার, অবশ্যই আবশ্যক। এটাও আপনার যথোপযুক্ত কাজের ক্ষেত্র হতে পারে।
৮.    লোগো ডিজাইন: একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হলো লোগো ডিজাইন। এক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ শুরু করতে বেশি সময় লাগে না। আপনার ক্রিয়েটিভিই হলো লোগো ডিজাইনের মূল কথা। প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তার প্রতিষ্ঠানের লোগো তৈরির জন্য একজন ফ্রিল্যান্স লোগো ডিজাইনার অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইনারে খোঁজ করেন। তাই আপনি সহজেই কাজ পাবেন এবং ভালো করতে পারলে তাদেরকেই আপনার রেগুলার বায়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
৯.    ওয়েবসাইট ডিজাইন: সবশেষে বললেও একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের ক্ষেত্র ওয়েবসাইট ডিজাইন। লোকাল মার্কেট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেটাই বলি না কেনো প্রতিনিয়ত ওয়েব ডিজাইনের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। তাই ওয়েবসাইট ডিজাইন করেও আপনা গ্রাফিক্স ডিজাইনার পেশাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন নিদ্দিষ্ট লক্ষ্যে।

গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কি প্রধান বিষয়?
আসলে সত্যি বলতে কি, পেশা হিসেবে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো বিষয় না। এখানে মূলত আপনার কাজের দক্ষতাই প্রধান বিষয়। আপনার ক্রিয়েটিভিটিউ আপনাকে সফলতা উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে পারে। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান শিক্ষাগত যোগ্যতা বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের প্রত্যাশা মূলত গ্রাফিক্স ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা, ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রি বিষয়টি চান। তবে সব ক্ষেত্রেই তারা কাজের দক্ষতার বিষয়টি আগে গুরুত্বদেন। তাই আপনাকে আগে কাজের ক্ষেত্রে যোগ্য হতে হবে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শমূলক বার্তা হলো-
১.    কম্পিউটারে গ্রাফিক্স এবং বিভিন্ন ডিজাইন সফওয়্যার ব্যবহার জানতে হবে।
২.    দক্ষতা, ক্রিয়েটিভ ভিশন এবং কমিউনিকেশন স্কিল ভালো করতে হবে।
৩.    ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কোনো ডিগ্রি থাকা ভালো।
৪.    গ্রাফিক্স ডিজাইন ইন্ডাস্ট্রির সর্বশেষ সংবাদ সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে।
৫.    একটা ভালো পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে, যার মাধ্যমে আপনি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা কাজ ভালো পারেন সেটি জানাতে পারবেন।
৬.     আপনি যদি কোনো এই পেশায় প্রতিষ্ঠা পেতে চান তাইলে প্রস্তুুতিস্বরুপ আপনাকে ২-৩ বছরের দক্ষতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কাজের দক্ষতা বা ইচ্ছাই আপনাকে উপরে নিয়ে যাবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয়
প্রশ্নই আসতে পারে প্রতি মাসে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের আয় কত হতে পারে? এ সম্পর্কে ডিজাইনারদের বেতন নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ডিজাইনার স্যালারিজ এর মতে, একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রতি বছরে গ্রাফিক্স ডিজাইন বা এ সম্পর্কিত চাকরি বা কাজ করে ১ লাখ ডলার সেই হিসেবে বাংলাদেশে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আয় করতে পারে। বাংলাদেশে গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমাধারীর বেতন মাসে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তবে ব্যাচেলর ফাইন আর্টসে ব্যাচেলর ডিগ্রিধারীদের বেতন মাসিক ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। [ সূত্র: বিডিজবস ]
এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি একটি লোগো ডিজাইন করলে ৫ থেকে শুরু করে ২ হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। তবে দক্ষতার ক্ষেত্রে ও বেশি ক্রিয়েটিভ কাজ হলে এটি ৫ হাজার ডলার পর্যন্তও হতে পারে। এছাড়া একটি ওয়েবসাইটটের ফাস্ট পেজ ডিজাইন করার ক্ষেত্রে ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ৩ হাজার ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। ৯৯ডিজাইন’স ডটকমফ্রিল্যান্সার কনটেস্টওডেস্কসহ অনেক ওয়েবসাইট বা অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি এই কাজগুলো পাবেন। মূলত কাজের মান ও ক্রিয়েটিভি এর উপরই ভিত্তি করে আপনার আয় নির্ভর করবে।
আসলে জানার কোনো শেষ নেই বা জানানোর কোনো শেষ নেই। এই বিষয়ে লিখতে গেলে শেষ করা যাবে না। তবে আমার জানামতে যে বিষয়টি আপনাদের জানানোর প্রয়োজন, তা দিতে চেষ্টা করেছি। আপনাদের মতামত অবশ্যই সাদরে গ্রহণযোগ্য।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please comment this post

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷