গুগল পান্ডার নতুন সংষ্করণ: আপনি প্রস্তুত তো?
ব্লগিং বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, প্রায় সকলেই বিষয়টি জানেন। গুগল তাদের সার্চিং অ্যালগরিদম ‘গুগল পান্ডার’ নতুন সংষ্করণ ‘পান্ডা ৩.৮’ ছেড়েছে। গত ২৫ জুন গুগলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরই মধ্যে পান্ডার এই নতুন সংষ্করণের ফলে অনেকেরই ব্লগ বা সাইটের ট্রাফিকে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কেউ সার্চ ইঞ্জিনে পড়ে গেছেন আবার কেউবা উপরের দিকে উঠে এসেছেন। এরই পরিপেক্ষিতে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কি অবস্থা? আপনি কি কোনো প্রভাব বুঝতে পারছেন? আপাতত প্রভাব না দেখুন, খুব শীঘ্রই এটি বুঝতে পারবেন। তাই গুগল পান্ডার সর্বশেষ সংস্করণ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন এবং সাজিয়ে তুলুন আপনার সাইটকে।
আপনি জানুন বা না জানুন, অবগতির জন্য বলছি ‘গুগল পান্ডা’ হলো গুগল সার্চের অ্যালগারিদম। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুগল পান্ডা অ্যালগরিদম শুরু করে। পান্ডার মূল কাজ হলো সার্চ রেজাল্টকে আরো উন্নত করা। হাই কোয়ালিটি সাইটকে উপরে তোলা ও লোকোয়ালিটি সাইটকে সনাক্ত করে নিচের দিকে ঠেলে দেওয়া। এছাড়া যে কোন ধরনের স্প্যামিং, ডুপ্লিকেট কন্টেট, ব্যাক লিংক স্পামিংকে সনাক্ত ও রোধ করার জন্য গুগল পান্ডা ব্যবহৃত হয়। এই অ্যালগারিদমটি গুগলের অন্যসব অ্যালগারিদম থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। গুগল পান্ডার ক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হলো কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিই মূল বিষয়। তাই কন্টেন্টের কোয়ান্টিটি নয়, কোয়ালিটিকে প্রধান্য দিতে হবে। প্রতি মাসেই গুগল তাদের অ্যালগরিদমের সাহায্যে ডাটা রিফ্রেশ করে। তাই অ্যালগরিদমের নিয়মানুসারে আপনার সাইটকে তৈরি করলে আপনি টিকে থাকতে পারবেন।
পান্ডা আপডেট সম্পর্কে গুগল তাদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে জানায়, নতুন পান্ডা আপডেটের ফলে গ্লোবালি সার্চ ইঞ্জিনে ১ শতাংশ প্রভাব পড়বে।
পান্ডা আপডেট সম্পর্কে গুগল তাদের অফিসিয়াল টুইটার পেজে জানায়, নতুন পান্ডা আপডেটের ফলে গ্লোবালি সার্চ ইঞ্জিনে ১ শতাংশ প্রভাব পড়বে।
আপনাকে যা করতে হবে
ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন র্যাকিংয়ে যদি কেউ উপরে ওঠে তাইলে বিপরীতে একজন নিচে নেমে যাবে। গত ২৫ জুনের পর আপনার সাইটের যদি এমনটি ঘটে তাহলে অবশ্যই আপনার সাইটকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনার সাইটের যদি ট্রাফিক বাড়ে, সেটি ধরে রাখতে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ গুগল যেহেতু আপনার সাইটকে প্রাধান্য দিচ্ছে, সাইটের কনটেন্টকে সামনে আনছে সেহেতু তাদের সেই মানকে মর্যাদা দিতে হবে।
ওয়েবসাইটে সার্চ ইঞ্জিন র্যাকিংয়ে যদি কেউ উপরে ওঠে তাইলে বিপরীতে একজন নিচে নেমে যাবে। গত ২৫ জুনের পর আপনার সাইটের যদি এমনটি ঘটে তাহলে অবশ্যই আপনার সাইটকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনার সাইটের যদি ট্রাফিক বাড়ে, সেটি ধরে রাখতে আপনাকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ গুগল যেহেতু আপনার সাইটকে প্রাধান্য দিচ্ছে, সাইটের কনটেন্টকে সামনে আনছে সেহেতু তাদের সেই মানকে মর্যাদা দিতে হবে।
অনেকেই বিভিন্ন ফোরামে অভিযোগ করেছেন সর্বশেষ ডাটা রিফ্রেশের পর তাদের সাইট ট্রাফিক হারাচ্ছে। অনেক ভালো ভালো কিওয়ার্ডে তারা র্যাংকিংয়ে নেমে যাচ্ছেন। তাদের ক্ষেত্রে এখনই সাইটকে কনটেন্টের মানের দিকে নজর দেয়া জরুরী। আপনাকে অবশ্যই পান্ডার পাশাপাশি পেঙ্গুইন অ্যালগরিদমের কথাও মাথায় রাখতে হবে। সাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা লিংক বিল্ডিংয়ের জন্য কখনোই অটোমেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না। ব্যাক্তিগতভাবে আমি যে বিষয়গুলো অনুসরণ করেছি, সেটি সম্পর্কে আপনাদের একটু ধারণা দিতে চাই। আপনারা এই বিষয়গুলোতে নজর দিতে পারেন, এটি অবশ্যই আপনার সাইটের মান ধরে রাখতে বা উন্নত করতে জরুরী।
১. আপনার সাইটের শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পেজগুলো সার্চ ইঞ্জিনকে ইনডেস্ক করতে দিন।
২. লো-কোয়ালিটির পেজকে যথাসম্ভব সরিয়ে ফেলুন।
৩. সাইটের এসইও স্ট্রাকচার ও থিমের প্রতি নজর দিন।
৪. আপনার সাইটের ব্রোকেন লিংকগুলো চেক করুন। এক্ষেত্রে ব্রোকেন লিংক চেকার ওয়েবসাইট, ব্রোকেন লিংক চেকার প্লাহিন, জেনু ব্যবহার করতে পারেন।
৫. এইচটিএমএল সাজেশনের জন্য গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস ব্যবহার করুন।
৬. সাইটের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন।
৭. পেজস্পিড বাড়ানোর দিকে নজর দিন।
৮. সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যালের জন্য প্রতিটি পেজ বা কনটেন্টের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া বাটনকে ইন্টিগ্রেট করে দিন, যাতে সহজে সবাই আপনার সাইট বা সাইটের কন্টেন্টকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে শেয়ার করতে পারেন।
৯. হাই কোয়ালিটি ন্যাচারাল লিংক পাওয়ার জন্য গেষ্ট পোস্টিং ক্যাম্পেইনের দিকে নজর দিন।
১০. গুগল অথরশিপের জন্য আবেদন করুন।
১১. গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে পোস্টের সাথে যাতে কোনো তারিখ অর্থ্যৎ যে তারিখে পোস্টটি করেছেন সেটি যাতে দেখা না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
১. আপনার সাইটের শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ পেজগুলো সার্চ ইঞ্জিনকে ইনডেস্ক করতে দিন।
২. লো-কোয়ালিটির পেজকে যথাসম্ভব সরিয়ে ফেলুন।
৩. সাইটের এসইও স্ট্রাকচার ও থিমের প্রতি নজর দিন।
৪. আপনার সাইটের ব্রোকেন লিংকগুলো চেক করুন। এক্ষেত্রে ব্রোকেন লিংক চেকার ওয়েবসাইট, ব্রোকেন লিংক চেকার প্লাহিন, জেনু ব্যবহার করতে পারেন।
৫. এইচটিএমএল সাজেশনের জন্য গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস ব্যবহার করুন।
৬. সাইটের বিজ্ঞাপনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন।
৭. পেজস্পিড বাড়ানোর দিকে নজর দিন।
৮. সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যালের জন্য প্রতিটি পেজ বা কনটেন্টের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া বাটনকে ইন্টিগ্রেট করে দিন, যাতে সহজে সবাই আপনার সাইট বা সাইটের কন্টেন্টকে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটে শেয়ার করতে পারেন।
৯. হাই কোয়ালিটি ন্যাচারাল লিংক পাওয়ার জন্য গেষ্ট পোস্টিং ক্যাম্পেইনের দিকে নজর দিন।
১০. গুগল অথরশিপের জন্য আবেদন করুন।
১১. গুগলে সার্চ ইঞ্জিনে পোস্টের সাথে যাতে কোনো তারিখ অর্থ্যৎ যে তারিখে পোস্টটি করেছেন সেটি যাতে দেখা না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
উপরের বিষয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে যে বিষয়টিতে আপনার নজর দেয়া জরুরী সেটা হলো সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যালকে বাড়ানো। গুগল তাদের সর্বশেষ অ্যালগরিদম আপডেটে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যালকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। উপরের বিষয়গুলো আপনার সাইটের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে দেখুন এবং কি প্রভাব পড়ে সেটি দেখতে থাকুন। আপনার যদি অল্পসংখ্যক পোস্ট থাকে, তাহলে সহজেই আপনি সেগুলোকে রিরাইট করে হাই কোয়ালিটি কনটেন্টে তৈরি করতে পারবেন, যেটি আপনার সাইটের জন্য অতীবক জরুরী।
আপনার মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে অ্যালগরিদম ও ডাটা রিফ্রেশের মধ্যে সম্পর্ক বা পার্থক্য কি? গুগল ওয়েবস্প্যাম বিভাগের প্রধান ম্যাট কার্ট সম্প্রতি এ সম্পর্কে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন, অ্যালগরিদম আপডেট হলো একটি গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের মতো আর ডাটা রিফ্রেশ হলো সেই গাড়িটি চালানোর জন্য ব্যবহৃত গ্যাস। আপনাদের সুবিধার্তে এখানে ম্যাট কার্টের ভিডিওটি দেওয়া হলো।
তাই আপনি যদি ন্যাচারালি অথবা বৈধ ভাবে আপনার সাইটের মান না বাড়ান, যদি আপনার সাইটটি গুগলের কোয়ালিটি সাইট গাইডলাইন না মানে তাহলে এখন না হলেও পরবর্তীতে আপনাকে ভুগতে হতে পারে। আপনি যদি আপনার ব্লগটাকে দীর্গসময়ের জন্য স্থায়ী করতে চান, তাহলে এখনই সময়। আপনার সাইটের কন্টেন্টকে উন্নত করার কাজে লেগে যান। এক্ষেত্রে আনট্রিক্সে প্রকাশিত ব্লগিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন পোস্ট পড়তে পারেন। আমরা নিয়মিত এসব বিষয়ে লিখছি। কমেন্ট আকারে আপনার কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে সেটি জানাতে পারেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে অ্যাংকর টেক্সটের প্রয়োজনীয়তা
যারা সার্চ ইঞ্জিন অপাটিমাইজেশন বা ব্লগিংয়ের সঙ্গে জড়িত আছেন তারা অনেকেই জানেন এবছর সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন [এসইও] এর ক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে গুগলের সর্বশেষ পেঙ্গুইন ও পান্ডা আপডেটের পর এসইও রিলেটেডদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। এই দুইটি আপডেটের পর অনেকেই সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে এসেছেন আবার অনেকেই ফল করেছেন। বিশেষ করে ব্যাকলিংকের ক্ষেত্রে অনেক প্রভাব পড়েছে গুগলের এই ডাটাবেজ আপডেটের ফলে। আর ব্যাকলিংকের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি কাজ করে সেটি হলো অ্যাংকর টেক্সট।
অ্যাংকর টেক্সট
প্রায় প্রতিটি পোস্টের মধ্যেই হাইপারলিংক সহকারে টেক্সট থাকে, যেটি ঐ নিদ্দিষ্ট টেক্সটির রিলেটের পূর্বের কোনো পোস্ট বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট বা সাইটের কন্টেন্টের লিংক বসানো থাকে। আপনি হাইপারলিংক করা টেক্সটির উপর মাউসের কার্সর নিলে যে টেক্সট দেখায় সেটাই অ্যাংকর টেক্সট।
প্রায় প্রতিটি পোস্টের মধ্যেই হাইপারলিংক সহকারে টেক্সট থাকে, যেটি ঐ নিদ্দিষ্ট টেক্সটির রিলেটের পূর্বের কোনো পোস্ট বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট বা সাইটের কন্টেন্টের লিংক বসানো থাকে। আপনি হাইপারলিংক করা টেক্সটির উপর মাউসের কার্সর নিলে যে টেক্সট দেখায় সেটাই অ্যাংকর টেক্সট।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে অ্যাংকর টেক্সট
বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ডিরেক্ট ও ইন-ডিরেক্ট অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। যেগুলো ওভারকাম করা একজন সফল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের দায়িত্ব। আপনাকে যখন একটি ব্লগ পোস্ট লিখতে বলা হয়, সেসময় আপনার কিওয়ার্ড রিসার্স ও অন-পেজ অপটিমাইজেশন জরুরী। আপনার ব্লগপোস্টটিতে অবশ্যই ১/২টি কিওয়ার্ড থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ ব্লগারের ক্ষেত্রে যেটি ভুল হয় সেটি হলো তারা কোনো পোস্টে তাদের পুরাতন লেখাগুলোর লিংক করতে গিয়ে এভাবে লেখেন, এখানে পড়ুন, আরো তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন ইত্যাদি। আসলে এগুলো পাঠককে আপনার আগের রিলেটেড লেখায় নিয়ে গেলেও সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এটি কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এর বিপরীতে আপনি আপনি আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডয়ের দিয়ে অ্যাংকর টেক্সটের মাধ্যমে পুরাতন লেখাটি ব্যাকলিংক করতে পারেন।
এটা শুধু ইন্টারন্যাল লিংকিং নয়, আপনি যখন কোনো ব্লগ বা ফোরামে অতিথি পোস্ট করবেন, আপনি অবশ্যই নিশ্চিত হবেন যে সেখান থেকে অ্যাংকর লিংকের মাধ্যমে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক পাবেন। তবে সেটি যেনো অকশ্যই আপনার পোস্ট রিলেটড হয় সেটি খেয়াল রাকতে হবে। এছাড়া অ্যাংকর টেক্সটি এমন হতে হবে যেনো এটি ভিজিটরকে আপনার লিংকে যেতে অনুপ্রাণিত করে। এই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে অ্যাংক টেক্সটি নূণ্যতম ৫০ শতাংশ কার্যকরী হবে ও গুগল অ্যালগরিদম আপডেটে অবশ্যই ভালো ব্যাকলিংক পাওয়া যাবে।
বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ডিরেক্ট ও ইন-ডিরেক্ট অ্যাডভান্টেজ রয়েছে। যেগুলো ওভারকাম করা একজন সফল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের দায়িত্ব। আপনাকে যখন একটি ব্লগ পোস্ট লিখতে বলা হয়, সেসময় আপনার কিওয়ার্ড রিসার্স ও অন-পেজ অপটিমাইজেশন জরুরী। আপনার ব্লগপোস্টটিতে অবশ্যই ১/২টি কিওয়ার্ড থাকতে হবে। কিন্তু বর্তমানে অধিকাংশ ব্লগারের ক্ষেত্রে যেটি ভুল হয় সেটি হলো তারা কোনো পোস্টে তাদের পুরাতন লেখাগুলোর লিংক করতে গিয়ে এভাবে লেখেন, এখানে পড়ুন, আরো তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন ইত্যাদি। আসলে এগুলো পাঠককে আপনার আগের রিলেটেড লেখায় নিয়ে গেলেও সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এটি কোনো গুরুত্ব বহন করে না। এর বিপরীতে আপনি আপনি আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডয়ের দিয়ে অ্যাংকর টেক্সটের মাধ্যমে পুরাতন লেখাটি ব্যাকলিংক করতে পারেন।
এটা শুধু ইন্টারন্যাল লিংকিং নয়, আপনি যখন কোনো ব্লগ বা ফোরামে অতিথি পোস্ট করবেন, আপনি অবশ্যই নিশ্চিত হবেন যে সেখান থেকে অ্যাংকর লিংকের মাধ্যমে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক পাবেন। তবে সেটি যেনো অকশ্যই আপনার পোস্ট রিলেটড হয় সেটি খেয়াল রাকতে হবে। এছাড়া অ্যাংকর টেক্সটি এমন হতে হবে যেনো এটি ভিজিটরকে আপনার লিংকে যেতে অনুপ্রাণিত করে। এই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। টার্গেটেড কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে অ্যাংক টেক্সটি নূণ্যতম ৫০ শতাংশ কার্যকরী হবে ও গুগল অ্যালগরিদম আপডেটে অবশ্যই ভালো ব্যাকলিংক পাওয়া যাবে।
ওয়ার্ডপ্রেসে অ্যাংকর টেক্সট যুক্ত করা খুবই সহজ। পোস্টের যে টেক্সটির সাথে অণ্যকোনো পোস্টেও লিংক করাতে চান সে টেস্টগুলো সিলেক্ট করে উপরের দিকে টুলস থেকে Insert/edit link এ ক্লিক করতে হবে। এখন একটি পপ-আপ বক্স আসবে। সেখানে ইউআরএল ঘরে আপনি যে পোস্টটির বা ওয়েব অ্যাড্রেসের সঙ্গে লিংক যুক্ত করতে চান সে পোস্ট বা ওয়েবের লিংকটি লিখতে হবে। এখন নিচে টাইটেল এর ঘরে আপনার কিওয়ার্ড সহ পোস্টটি কি সম্পর্কিত সেটি লিখতে পারেন। এই টাইটেলই আপনার অ্যাংকর টেক্সট। এখন নিচের অ্যাডলিংক বাটনটি ক্লিক করলেই অ্যাংকর টেক্সটটি সহকারে আপনার ব্যাকলিংকটি তৈরি হবে।
নিচের স্কিনশর্টটি দেখলে বুঝতে পারবেন।
অ্যাংকর টেক্সটের ডিরেক্ট ও ইন-ডিরেক্ট লাভ
পাঠকদের ক্ষেত্রে: পাঠকদের ক্ষেত্রে অ্যাংকর টেক্সটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করে। কারণ তারা আপনার পোস্টটি থেকে আরো বেশি রিলেটেড লিংকে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্যটি পেতে পারে। রিলেটেড লিংকটি আপনার সাইটের হলে স্বাভাবিকভাবেই তারা বেশিক্ষণ আপনার সাইটে ঘোরাঘুরি করবে এবং পেজভিউ বাড়বে। তারা এটা নিশ্চিত হবে যে আপনার সাইটে আসলে নিদিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত প্রায় সব তথ্যই পাওয়া যায়। তবে আপনার লিংকটি রিলেভেন্ট না হলে পাঠক বিরক্তি পাবে। তাই অ্যাংকর টেক্সট যুক্ত করার সময় অবশ্যই এটি সে সম্পর্কিত হতে হবে।
এসইও এর ক্ষেত্রে: এসইও এর ক্ষেত্রে অ্যাংকর টেক্সট খুবই গুরুত্ববহণ করে। পাঠকের দিক থেকে প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করলেই বোঝা যায় এটা এসইওর ক্ষেত্রে কতোটা ভ’মিকা রাখে। অ্যাংকর টেক্সটের একটি ব্যাকলিংকের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে অনেক ভালো পজিশন পাওয়া সম্ভব। হোমপেজের পরিবর্তে আপনার সাইটের ইন্টারন্যাল পেজের লিংক করলে আরো বেশি সাড়া পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please comment this post
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷